Logo
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
logo

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মোড়কে থাকবে লাল চিহ্ন


সাংবাদিকের নাম   প্রকাশিত:  ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:০৭ পিএম

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মোড়কে থাকবে লাল চিহ্ন

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিহ্নিতকরণের জন্য মোড়কের (প্যাকেট) রঙ বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।এখন থেকে সব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেভেলে লাল চিহ্ন যুক্ত করা হবে।

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি) আয়োজিত বাংলাদেশে চলমান অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্সের (এএমআর) পরিস্থিতি ও এএমইউ ট্রেন্ডস শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) সহকারী পরিচালক এস এম সাবরিনা ইয়াছমিন।

এর আগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাবরিনা ইয়াছমিন বলেন, 'গত জানুয়ারিতে বিএপিআইয়ের সঙ্গে আমাদের একটি সভায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের লেভেলে লাল চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি অনুমোদনও দেওয়া হয়।'

তিনি বলেন, 'দেশের ৬৭ ভাগের বেশি ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র (ফার্মেসি) অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। তাই অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিতকরণ সহজ করতে এবার মোড়ক বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবনের প্রবণতা। অসুস্থ হলেই ফার্মেসি থেকে সাধারণ মানুষ ওষুধ কিনে সেবন করেন। দেশের আটটি বিভাগের ৪২৭টি ফার্মাসিতে জরিপ চালিয়ে আমরা দেখেছি, ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ ফার্মেসি কর্মী অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেন না। এছাড়া তারা সহজে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ চিনতেও পারে না।'

ডিজিডিএ'র সহকারী পরিচালক বলেন, 'মানুষ এবং পশু দুই ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের এই চিহ্ন ব্যবহার করা হবে। অনেক কোম্পানি বর্তমান সময়েও তাদের ওষুধের লেভেলে এই চিহ্ন ব্যবহার করছে।'

অনুষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সহ কয়েকটি সংস্থা বিভিন্ন গবেষণা তুলে ধরেন।

এ সময় ডিজিডিএ'র মহাপরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ (সংক্রামক) শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।